বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী অভিবাসী শ্রমিক ভাষাগত অসুবিধার কারণে তাদের প্রাপ্য বেতনের পুরো পরিমাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ভাষা না জানার কারণে তারা কাজের পরিবেশ বুঝতে পারেন না, চুক্তি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পান না, এবং অনেক সময় তাদের শ্রমের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত করা হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ভাষাগত অসুবিধার কারণে শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্য বেতনের মাত্র এক তৃতীয়াংশ পান।
ভাষাগত অসুবিধার প্রভাব:
- কাজের পরিবেশ বুঝতে অসুবিধা: ভাষা না জানার কারণে শ্রমিকরা কাজের নির্দেশনা সঠিকভাবে বুঝতে পারেন না, যা তাদের কাজের গুণগত মানকে প্রভাবিত করে।
- চুক্তি বুঝতে অসুবিধা: অনেক শ্রমিক চুক্তিপত্র বুঝতে না পারায় তাদের অধিকার সম্পর্কে অজ্ঞাত থাকেন এবং সহজেই প্রতারিত হন।
- বেতন কমানো: ভাষা না জানার কারণে শ্রমিকরা তাদের বেতন নিয়ে আলোচনা করতে পারেন না, ফলে তাদের বেতন কমিয়ে দেওয়া হয়।
- শোষণের শিকার: ভাষাগত অসুবিধার সুযোগ নিয়ে অনেক নিয়োগকর্তা শ্রমিকদের কম বেতন দেন এবং অতিরিক্ত শ্রম নেন।
সমাধানের উপায়:
- ভাষা শিক্ষা: বিদেশে যাওয়ার আগেই শ্রমিকদের জন্য ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা করা জরুরি, যাতে তারা কাজের পরিবেশ এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে পারেন।
- সচেতনতা বৃদ্ধি: শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে তারা তাদের অধিকার সম্পর্কে জানতে পারেন এবং ভাষাগত অসুবিধা কাটিয়ে উঠতে পারেন।
- সরকারি উদ্যোগ: সরকারের উচিত শ্রমিকদের জন্য ভাষা শিক্ষা এবং আইনি সহায়তার ব্যবস্থা করা, যাতে তারা ন্যায্য বেতন এবং অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন।





